নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে যে সংগঠনটির নাম জড়িত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতে গড়া শিক্ষা শান্তি প্রগতি পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধকালীন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রামে ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর সংগঠনটির সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের নেতা নির্বাচিত হয়ে থাকে।দুই বছর মেয়াদী এই কমিটি হলেও বর্তমান কমিটির মেয়াদ ৪ বছর অতিবাহিত হচ্ছে।শুধু এই কমিটি নয়,এর পূর্বের কমিটি একই অবস্থা বিরাজমান ছিল।সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব বের হয়ে আসে সেই সাথে সংগঠনের গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।বর্থমান কমিটি ভেঙ্গে জুন মাসে সম্মলনের ঘোষণা দিয়েছেন এই সংগঠনের এক মাত্র অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এর অন্যতম ইউনিট ঢাকা মহানগর উত্তর।এই ইউনিট এর রয়েছে গৌরবগাথা ইতিহাস।আসন্ন সম্মেলনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের কে হবেন সভাপতি? বিশ্বস্ত সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী যারা আলোচনায় আছেন তারা হলেন ,উজ্জ্বল আহমেদ(সহ সভাপতি বর্তমান কমিটি)
আমির হামজা(সহ সভাপতি বর্তমান কমিটি),নাইমুর রহমান হৃদয় (সাংগঠনিক সম্পাদক) ।
এদের মধ্যে উজ্জ্বল আহমেদ ভুইঞা একাডেমী ব্রাঞ্চে লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে এলএলবি করছেন।করোনাকালীন থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত যে কোন মানবিক বিপর্যয়ে দাতা হয়ে এগিয়ে গেছেন। সংগঠনের কর্মীদের বিপদে পাশে দাড়িয়েছেন।অন্যদিকে আমির হামজা ও ঢাকা কলেজের ছাত্র। সংগঠনের কর্মসূচিতে ছিল সরব উপস্থিতি।ছাত্রদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে তার ভূমিকা কম নয়।নাইমুর রহমান হৃদয় ও ঢাকা কলেজের ছাত্র। সংগঠনের কার্যক্রম এ অংশগ্রহণ করলেও রয়েছে মাদক সংশ্লিষ্টতার গুঞ্জন।কর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও মানবিক কোন কার্যক্রমে দেখা যায় নি তাকে।
একটি সংগঠনের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করা হয়।তার মধ্যে রয়েছে বয়স, বিবাহিত কি না, মাদকাসক্ত কি না,মামলা আছে কি না ইত্যাদি।বয়সের চিন্তা করলে সংগঠনের নির্ধারিত বয়সসীমা ২৯ বছর।সে তুলনায় উজ্জ্বল আহমেদ এর বয়স ২৭+ এবং নাইমুর রহমান হৃদয় এর বয়স ২৮+।আমির হামজার বয়স ৩০+।অন্যদিকে নাইমুর রহমান হৃদয় এর মাদক সংশ্লিষ্টতার গুঞ্জন রয়েছে।
সর্বদিক বিবেচনা করে সংগঠনটির অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিবেন আসন্ন সম্মেলনে।তার দিকেই তাকিয়ে আছেন সংগঠনটির কর্মীরা।সবার একটাই আশা কোন দুর্ণীতিপরায়ন মাদকাসক্ত ব্যাক্তি যেন সংগঠনটির শীর্ষ পদে না আসতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে মেনে নিতে সবাই প্রস্তুত।