ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় চরফ্যাশনে জেলে পরিবারকে সরকারি বরাদ্দ থেকে ২৫হাজার টাকা করে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক। (মঙ্গলবার ১২নভেম্বর) বেলা ১২টায় উপজেলা সম্মেলন কক্ষে এ অর্থ প্রদান করা হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন, জেলা মৎস কর্মকর্তা আতিকুর রহমান, উপজেলা মৎস অফিসার মারুফ হোসেন মিনারসহ আরোও অনেকে। এসময় জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় জেলেসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণকে আরোও সচেতন হতে হবে। এবং প্রত্যেক ইউনিয়ন ও উপজেলায় সচেতনাতামূলক সভা সেমিনার করতে হবে। এবং প্রান্তিক জনোগষ্ঠিকে দুর্যোগ বিষয়ে জানাতে হবে। তিনি আরোও বলেন, জেলেদের ট্রলার ডুবির ঘটনা খতিয়ে দেখার জন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি নিষেদ করা সত্বেও জেলেরা কেনো সমুদ্রে গিয়েছে এবিষয়টি বিশ্লেসন করা হবে। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় ঘূণিঝড় “বুলবুলে” ক্ষতিগ্রস্ত ১শ পরিবারকে ২শ বান ঢেউটিন ও প্রত্যেক পরিবারকে ৬হাজার টাকার চেক তুলে দেন। এদিকে ট্রলার ডুবির ঘটনায় গতকাল রাতেই উদ্ধারকৃত ৯ জেলের লাশ বরিশাল মেহেন্দিগঞ্জ থানা থেকে চরফ্যাশনে পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তাদেরকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। নিহত জেলেরা চরফ্যাশন দুলারহাট থানার নীলকোমল, নুরাবাদ আহাম্মদপুর ও চরফ্যাশন সদর থানার আব্দুল্লাহপুর এবং আবুবকরপুর ইউনিয়নের। এরা হলেন- কামাল দালাল (৩৫) আব্বাস মুন্সি (৪৫) হাসান মোল্লা(৩৮) রফিক বিশ্বাস(৫৫) নুরনবী বেপারী(৩০) মফিজ মাতব্বর(৩৫) নজরুল ইসলাম(৩৫) কবির হোসেন(৪০) মোঃ বিল্লাল(৩২) ও খোরশেদ আলম(৪০)। উল্লেখ্য, গত রোববার (১০নভেম্বর) চাঁদপুর জেলার মৎসঘাট থেকে মাছ বিক্রি করে উত্তাল মেঘনা নদী দিয়ে চরফ্যাশন উপজেলায় আসছিল ওই ২৪ জেলে। দুপুরের দিকে ভোলা ইলিশা পয়েন্টের মেঘনায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল ¯্রােতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এরপর ১ জেলেকে জীবিত ও ১ জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয় ওই দিন এবং ১ জেলে নিখোঁজ থাকে। গতকাল সন্ধ্যায় আরোও ৯ জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এখোনোও মোঃ নাসিম পিতা আঃ হাসেম নামের এক জেলে নিখোঁজ রয়েছেন বলে সূত্রে যানা যায়।