বাপ্পী খান, চীফ রিপোর্টার, ঢাকা: পৃথিবীর ব্যস্ততম নগরীর তালিকায় উল্লেখযোগ্য হলো ঢাকা সিটি। যান্ত্রিক এ নগরীতে যেন দিন দিন সময় আর কাজের পেছনে ছুটতে ছুটতে মানুষই যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে।
কোথায় যেন একটু স্বস্তিতে সময় কাটানোর, নিজেকে রিফ্রেশ করার কিংবা শহরের এই যান্ত্রিকতা ছেড়ে খুব কাছে কিনারে কোথাও সময় কাটানোর কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
আর এ সকল চিন্তাধারা থেকেই ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে বসুন্ধরা আবাসিকে এপোলো হাসপাতালের খুব কাছেই যাত্রা শুরু করেছে ড্রীমল্যান্ড ঢাকা রিসোর্ট। গত ৫ই এপ্রিল করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখেই স্বল্প পরিসরে আয়োজনের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় ড্রীমল্যান্ড ঢাকা রিসোর্ট।
অত্যাধুনিক সকল সুবিধা সম্বলিত এবং নিজেকে ও পরিবারের সদস্যদের কে সাথে নিয়ে সারাদিন আনন্দ উৎসব করার মত একটি আধুনিক মানের রিসোর্ট এটি।
রিসোর্টটির চেয়ারম্যান হলেন, তানিয়া হক শোভা। যিনি গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্যানেল চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ যুব মহিলালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।
গত ৫ই এপ্রিল রিসোর্ট টি উদ্বোধনের সময় চলচিত্রের জনপ্রিয় মুখ মিশা সওদাগর এবং নাটক অভিনেতা সিদ্দিক সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ড্রীমল্যান্ড ঢাকা রিসোর্ট সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রিসোর্টটির চেয়ারম্যান তানিয়া হক শোভা বলেন, আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত কর্মী হয়ে সর্বদা নিজেকে রাজনীতির মাঠে ব্যস্ত রাখি তার পাশাপাশি নিজের সংসার ও পরিচালনা করতে হয়।
মূলত এমন একটি রিসোর্ট এর স্বপ্ন দীর্ঘদিন ধরেই নিজের ভেতরে ধারণ করছিলাম। অবশেষে মহান আল্লাহর রহমতে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
তিনি বলেন মূলত যান্ত্রিক এ শহরে ঢাকাবাসীর কথা মাথায় রেখেই ঢাকার ভেতরেই রিসোর্ট টি নির্মাণ করেছি। কারণ ব্যস্ততম এ জীবনে রিফ্রেশমেন্ট এর জন্য সময় কাটাতে কিংবা পরিবারকে নিয়ে সময় দিতে ঢাকা শহরের ভেতরেই এমন সুবিধা আমাদের জন্য নেই বললেই চলে। আর তাই আমি স সকল চিন্তা মাথায় রেখেই রিসোর্টটির স্থান ঢাকা সিটির মধ্যেই নির্ধারণ করেছি।
তানিয়া হক শোভা জানান, রিসোর্ট টি প্রায় ২বিঘা জমির উপরে নির্মাণ করা হয়েছে।
এখানে রয়েছে, অত্যাধুনিক মানের কনভেনশন সেন্টার, যেখানে ২সেটিং এ ১৪০০ লোকের বসার ব্যবস্থা করা সম্ভব। এখানে যে কোন ধরণের পার্টি, সেমিনার, মিটিং, বিয়ে, জন্মদিন যে কোন কিছুই আয়োজন করা সম্ভব। রয়েছে জীম সেন্টার, অনলাইন রেডিও স্টেশন, বিশাল সুইমিংপুল, বার্বিকিউ জোন, মিউজিক্যাল জোন, বিশাল ডুপ্লেক্স রেস্টুরেন্ট, লাইভ মিউজিক, বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা, প্লে গ্রাউন্ড ও পার্কিং সহ আরো অনেক ধরণের সুযোগ সুবিধা।
তিনি আরো জানান আমাদের যে রেস্টুরেন্ট রয়েছে এখানে যিনি মাস্টার সেফ হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তিনি তুরস্ক সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের পাঁচতারকা মানের হোটেলের মাস্টার সেফ ছিলেন।
আমাদের সুইমিংপুলে প্রজেক্টর এর মাধ্যমে লাইভ মুভি দেখার ব্যবস্থা এবং লাইভ ফিসিং এর ও ব্যবস্থা রয়েছে।
১৩০০ স্কয়ার ফিটের জিমনেশিয়াম এর পাশাপাশি রয়েছে ইয়োগা।
ফুডকোর্টে রয়েছে ১৪টি বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের দোকান যেখানে পাশাপাশি লাইভ মিউজিক ও মুভির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া এখানকার লাইভ কিচেনে সিফুড সহ
চাইনিজ, কোরিয়ার, জাপানি, শুসিসহ বিভিন্ন দেশের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
এককথায় ড্রীমল্যান্ড ঢাকা রিসোর্ট এর মাধ্যমে তানিয়া হক শোভার স্বপ্নের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটেছে। তিনি তার মনের মাধুরি মিশিয়ে তিল তিল করে এ রিসোর্ট টি গড়ে তুলেছেন।
তিনি অত্যন্ত আশা ব্যক্ত করে বলেন আমার বিশ্বাস আপনারা এখানে বিনোদনের জন্য, কোন পার্টি কিংবা প্রোগ্রাম করার উদ্দেশ্যে অথবা যদি কোন খাবারের স্বাদ নেবার জন্য হলেও আসেন তবে মনের শতভাগ পরিতৃপ্তি নিয়েই এখান থেকে যেতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে তিনি ড্রীমল্যান্ড ঢাকা রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট এর জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন এবং অবকাশ যাপন কিংবা কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সকলকে ঘুরে আসতে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এবং আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।