মিরসরাই উপজেলা সদর ইউনিয়নের মধ্যম তালবাড়িয়া ত্রিপুরাপাড়ায় খাল পার হতে একমাত্র ভরসা একটি জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকো। এ সাঁকো দিয়েই স্কুলে যাতায়াত করে শিশু শিক্ষার্থীরা। ঝুঁকির কারণে শিশুকে স্কুলে পাঠানোই বন্ধ করে দিয়েছেন অনেক অভিভাবক। তাছাড়া ভাঙা সাঁকোর কারণে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই পাড়ার ছয় শতাধিক বাসিন্দা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়নের ত্রিপুরাপাড়ায় পাঁচ বছর আগে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে কাঠের সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। এরপর কখনই সংস্কার করা হয়নি। ফলে পাটাতনে কাঠের তক্তাগুলো পচে গেছে। যোগাযোগর বিকল্প পথ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এ সাঁকো দিয়েই খাল পারাপার করে ত্রিপুরাপাড়ার বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাঁকোটির প্রায় অর্ধেক অংশের তক্তা খসে পড়ে গেছে। বেশ কয়েকটি খুঁটি সরে গেছে। পাহাড়ি খালের স্রোতে মাটি সরে গিয়ে নড়বড়ে হয়ে গেছে বাকি খুঁটিগুলোও। একজন পার হওয়ার সময়ও সাঁকোটি বিপজ্জনকভাবে দোলে। যাতায়াতের বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় পাড়ার বাসিন্দাদের বর্ষার সময় ওই পথটুকু পেরোনোর জন্য খেরস্রোতা পাহাড়ি ছড়া হেঁটে পার হতে হয়।
মধ্যম তালবাড়িয়া ত্রিপুরাপাড়ার পাড়াপ্রধান সুরেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, চলাচলের অনুপযোগী সাঁকোটি পার হতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পাড়ার লোকজন। ভাঙা সাঁকো পার হওয়ার ভয়ে ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না। বর্ষা মৌসুমে চলাচল প্রায় বন্ধই থাকে। কর্তৃপক্ষ যদি এখানে একটি ছোটখাটো সেতু নির্মাণ করে দেয়, তাহলে পাড়ার বাসিন্দারা এ দুর্ভোগ থেকে বাঁচে।
এ ব্যাপারে মিরসরাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এমরান উদ্দীনকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, কিছুদিন আগে ভাঙা ওই সাঁকোটি আমি দেখে এসেছি। শিগগিরই সেখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হবে। এ নিয়ে এরই মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
বিষয়টি জানানোর পর সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন। তিনি বলেন, জরাজীর্ণ ওই সাঁকোটি আমি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। খুব দ্রুত সেখানে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে চলাচলের উপযোগী একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। অচিরেই এলাকাবাসী ও স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের কষ্ট লাঘব হবে।
সূত্র: বণিক বার্তা