এস এম জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর:প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অভিনব কায়দায় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সাড়ে তিন মাস পর গাজীপুর জেলা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা ধামলই গ্রামের মৃত কাজল বেপারীর ছেলে শরীফ বেপারী বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, ধামলই এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার সন্তান মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন,মোঃ তমিজ উদ্দিন, মৃত হাসমত আলী খন্দকার এর ছেলে কাশেম খন্দকার ও মঞ্জুরুল ইসলাম, কাশেম খন্দকার এর স্ত্রী রমিজা খাতুনসহ মৃত নজিবুল হক সরকারের মোঃ আরিফুল ইসলাম সরকার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিহত কাজল বেপারী পেশায় কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি গত ০৮ ডিসেম্বর ২০২১ ইং তারিখে মাওনা থেকে কাঠ ক্রয় করার জন্য মোটরসাইকেল যোগে কালিয়াকৈর উপজেলার ফুলবাড়িয়া যাবার পথে ট্রাকের সাথে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে কাজলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই ট্রাকচালক গজারিয়া চালা গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে মনির হোসেনের সাথে ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ ইং স্থানীয় মেম্বার ও নিহতের স্বজনদের সাথে লিখিত স্টাম্পের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে আপোষনামা হয়।
নিহত কাজলের কাছে আম্বিয়া খাতুনের মোটা অঙ্কের একটি লেনদেন ছিল, এছাড়া কাশেম খন্দকার এর কাছ থেকে মৃত্যুর কয়েকদিন পূর্বে ৫০,০০০ টাকা লিখিত স্টাম্পের মাধ্যমে নিয়েছিল।
সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হওয়ার পর আম্বিয়া খাতুন ও কাশেম খন্দকার নিহতের পরিবারের কাছে টাকা দেওয়ার দাবি জানান। টাকা দেই দিচ্ছি করে ওই পরিবার কিছুদিন তালবাহানা করার পর হঠাৎ আম্বিয়া খাতুন ও কাশেম খন্দকারসহ দুই পরিবারের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম খান ও সাবেক ইউপি সদস্য শফিক হায়দার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। আম্বিয়া খাতুন সুদে লেনদেন করে থাকে টাকা পয়সা। সুদের টাকা পয়সা নিয়েই মূলত ঝামেলা হয়েছে, দুই পক্ষেকে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর বলছেন, মামলার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, এটি প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা সকলেই জানি মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। পাওনা টাকা চাওয়ার কারণেই মামলা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।